'This is not a check; Self Bangabandhu'
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে স্বাক্ষর করা তিন হাজার টাকা অনুদানের একটি চেক ২০ বছর ধরে সংরক্ষণ করছেন বরিশালের আগৈলঝাড়ার রাজিব সেরনিয়াবাত। এর আগে ২৫ বছর সংরক্ষণে রেখেছিলেন তার বাবা। চেকটি রাজিবের মুক্তিযোদ্ধা ভাইকে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
রাজিব সেরনিয়াবাত ওই উপজেলার সেরাল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রকিব সেরনিয়াবাতের ভাই।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বাবা মারা যাওয়ার সময় চেকটি আমাকে দিয়ে বলেছেন- ‘এটি শুধু একটি চেক নয়, মনে করো এই হলেন বঙ্গবন্ধু। আর চেকে যে কলম দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাক্ষর করেছেন, সেই কলমের কালি হচ্ছে তোমার মুক্তিযোদ্ধা ভাই রকিব।’
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রাজিব সেরনিয়াবাত বলেন, এ চেকের মধ্যেই আমি খুঁজে পাই বঙ্গবন্ধু আর রকিবকে। দীর্ঘদিন সংরক্ষণে রাখা চেকটি সুযোগ পেলে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে সরাসরি তুলে দিতে চাই।
তৎকালীন গৌরনদী ও বর্তমান আগৈলঝাড়া অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বুলেট সেন্টু বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও গৌরনদী হানাদারমুক্ত হয়েছিল ২২ ডিসেম্বর। ওই সময় সরকারি গৌরনদী কলেজ ক্যাম্পের হানাদারদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে রকিব সেরনিয়াবাত ছিলেন অন্যতম।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বাবা মারা যাওয়ার সময় চেকটি আমাকে দিয়ে বলেছেন- ‘এটি শুধু একটি চেক নয়, মনে করো এই হলেন বঙ্গবন্ধু। আর চেকে যে কলম দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাক্ষর করেছেন, সেই কলমের কালি হচ্ছে তোমার মুক্তিযোদ্ধা ভাই রকিব।’
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রাজিব সেরনিয়াবাত বলেন, এ চেকের মধ্যেই আমি খুঁজে পাই বঙ্গবন্ধু আর রকিবকে। দীর্ঘদিন সংরক্ষণে রাখা চেকটি সুযোগ পেলে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে সরাসরি তুলে দিতে চাই।
তৎকালীন গৌরনদী ও বর্তমান আগৈলঝাড়া অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বুলেট সেন্টু বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও গৌরনদী হানাদারমুক্ত হয়েছিল ২২ ডিসেম্বর। ওই সময় সরকারি গৌরনদী কলেজ ক্যাম্পের হানাদারদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে রকিব সেরনিয়াবাত ছিলেন অন্যতম।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রকিব সেরনিয়াবাত সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল রাতে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন তিনি। তাকে গৌরনদী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশেই দাফন করা হয়।
রাজিব সেরনিয়াবাত বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাবা সেকান্দার আলী সেরনিয়াবাতকে তিন হাজার টাকার অনুদান দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু চেকটি নিজ হাতে স্বাক্ষর করেছেন। ওই বছরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবার শহিদ হওয়ার পর তার স্মৃতি ধরে রাখতে চেকটি ভাঙেননি বাবা। চরম আর্থিক দুরবস্থার মাঝেও পরম যত্নে চেকটি সংরক্ষণে রেখেছেন।
রাজিব সেরনিয়াবাত আরো বলেন, বাবা মারা যাওয়ার আগে আমার হাতে চেকটি দিয়ে বলেছিলেন- ‘আমি পারিনি। তুমি সুযোগ পেলে চেকটি শেখের বেটির হাতে দিও।’ সুযোগ পেলে চেকটি আমি চেকটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিতে চাই।
[কপিকৃত ]
0 Comments